পর্ব্বতময় ইফ্রয়িম প্রদেশস্থ রামাথয়িম-সোফীম-নিবাসী ইল্কানা নামে এক জন ইফ্রয়িমীয় ছিলেন; তিনি সুফের বৃদ্ধ প্রপৌত্র, তোহের প্রপৌত্র, ইলীহূর পৌত্র, যিরোহমের পুত্র।
এই ব্যক্তি প্রতিবৎসর আপন নগর হইতে শীলোতে গিয়া বাহিনীগণের সদাপ্রভুর উদ্দেশে প্রণিপাত ও বলিদান করিতেন। সেই স্থানে এলির দুই পুত্র হফ্নি ও পীনহস সদাপ্রভুর যাজক ছিল।
বৎসর বৎসর যখন হান্না সদাপ্রভুর গৃহে যাইতেন, তখন তাঁহার স্বামী ঐরূপ করিতেন, এবং পনিন্নাও ঐ প্রকারে তাঁহাকে বিরক্ত করিতেন; তাই তিনি ভোজন না করিয়া ক্রন্দন করিতেন।
তিনি মানত করিয়া কহিলেন, হে বাহিনীগণের সদাপ্রভু, যদি তুমি তোমার এই দাসীর দুঃখের প্রতি দৃষ্টিপাত কর, আমাকে স্মরণ কর, ও আপন দাসীকে ভুলিয়া না গিয়া আপন দাসীকে পুত্রসন্তান দেও, তবে আমি চিরদিনের জন্য তাহাকে সদাপ্রভুর উদ্দেশে নিবেদন করিব; তাহার মস্তকে ক্ষুর উঠিবে না।
হান্না উত্তর করিলেন, হে আমার প্রভু, তাহা নয়, আমি দুঃখিনী স্ত্রী, দ্রাক্ষারস কিম্বা সুরা পান করি নাই, কিন্তু সদাপ্রভুর সাক্ষাতে আমার মনের কথা ভাঙ্গিয়া বলিয়াছি।
তাহাতে নিরূপিত সময়ের মধ্যে হান্না গর্ভধারণ করিয়া পুত্র প্রসব করিলেন; আর ‘আমি সদাপ্রভুর কাছে ইহাকে যাচ্ঞা করিয়া লইয়াছি’ এই বলিয়া তাহার নাম শমূয়েল রাখিলেন।
পরে তাহার স্তন্য ত্যাগ হইলে তিনি তিনটী বৃষ, এক ঐফা সূজী ও এক কূপা দ্রাক্ষারসের সহিত তাহাকে শীলোতে সদাপ্রভুর গৃহে লইয়া গেলেন; তখন বালকটী অল্পবয়স্ক ছিল।
আর হান্না কহিলেন, হে আমার প্রভু, আপনার প্রাণের দিব্য, হে আমার প্রভু, যে স্ত্রী সদাপ্রভুর উদ্দেশে প্রার্থনা করিতে করিতে এই স্থানে আপনার সম্মুখে দাঁড়াইয়াছিল, সে আমি।